অরণ্য, ঝাড়গ্রাম- ১৭ই ফেব্রুয়ারি:
সরকার যা পারেনি হাতি তা করে দিচ্ছে। হাতির জ্বালায় বিকল্প ফুল চাষকেই বেছে নিয়েছে সাঁকরাইলের মানুষ।গাঁদা ফুলের চাষ করে লক্ষীলাভ সাঁকরাইলের বাসীন্দাদের।সরকার বার বার বলেও বিকল্প চাষে খুব বেশী উৎসাহি করে তুলতে পারেনি চাষিদের। ঝাড়গ্রামের শিরশি এলাকায় প্রায় ১৫ বিঘে জমিতে চাষ করেছেন গাঁদা ফুলের। শীতকালিন ফুল হলেও এই ফুলের বারোমাস চাহিদা থাকে বাজারে।ঝাড়গ্রামের বহু এলাকার ফুলচাষীরা রূখা জমিতে গাঁদা ফুল চাষ করে লাভবান হয়েছেন। দেখতে সুন্দর ও বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এই গাঁদা ফুলের। এই ফুল চাষ করে আর্থিকভাবে অনেকটাই স্বনির্ভর হচ্ছেন ফুল চাষিরা।
তেমনি বাগানে গাছে জল দেওয়া থেকে শুরু করে ফুলতলা, নানান কাজ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার মানুষ।এই ফুল চাষ করতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। এছাড়াও খাটনি ও খরচ দুটোই হয় অন্যান্য চাষের থেকে অনেকটাই কম। তবে এই ফুলের রোগব্যাধি দেখতে পাওয়া যায়। কৃষকদের এই রোগব্যাধির সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে হটিকালচারে আধিকারিকরা নিয়মিত সাহায্য করছেন।হাতির সমস্যায় নাজেহাল সাঁকরাইলবাসীরা কেউ নিজে চাষ করছেন কেউ আবার লিজে ফুল চাষিকে জমী ভাড়া দিচ্ছেন।খরচ কম, লাভ বেশি বলে গাঁদা ফুল চাষ নজর কারছে।এই চাষ করতে ব্যয় হয় খুবই কম। তবে লাভ পাওয়া যায় অনেকটাই বেশি। তাই কৃষকদের জন্য এই ফুল চাষ করা অত্যন্ত লাভদায়ক।