নিজেস্বসংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম-১৩ই জানুয়ারি :
ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ আদিবাসী অঞ্চল জুড়ে রাত পোহালেই টুসু পরব। খুব ধুম-ধাম করে পালিত হয় টুসু পরব। মূলত, আদিবাসী-মূলবাসীদের প্রধান উৎসব হলেও, ‘মকর-পরব’ ঘিরে মেতে ওঠেন সবাই। পৌষ সংক্রান্তির আগের রাত হল টুসু পুজোর রাত। ফল, পিঠে, খই-মুড়কির নৈবেদ্য সাজিয়ে টুসুমণির পুজো করেন কুমারী ও এয়োতিরা। সারারাত গান শুনিয়ে ‘জাগিয়ে রাখা’ হয় সমৃদ্ধির দেবী টুসুমণিকে।
পরদিন গান গাইতে গাইতে গিয়ে নদী কিংবা জলাশয়ে টুসু মূর্তি ভাসিয়ে দেওয়ার রীতি। একটা সময় গোটা পৌষ মাস ধরেই চলত টুসু উৎসব। ক্ষেত থেকে ফসল তোলার আনন্দে, জঙ্গলমহলের আট থেকে আশি, মেতে উঠতেন টুসু গানে। যা চূড়ান্ত রূপ নিত, মকর পরবের দিনে। সময়ের ফেরে জঙ্গলমহলের কৃষিকেন্দ্রিক লোক উৎসবে এসেছে ভাটার টান। তাই আগের মতো টুসু গান যেমন শোনা যায় না, তেমনি দোকানেও মেলে না টুসু বরণ গানের বই। আর এই ভাটার সময় টুসু কে বাঁচিয়ে রাখতে টুসু কে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এগিয়ে এলেন ঝাড়গ্রামের বানিতীর্থ হাই স্কলের দুই ইংরেজির শিক্ষক। লিখলেন টুসুর গান। আর এই পরব কে ঘিরে চলে কেনা বেচা ।