দিব্যেন্দু মোহন গোস্বামী, বীরভূম-২৫ডিসেম্বর :
খেঁজুর গুড়ের সুগন্ধ আর সর্ষে ক্ষেতের নজর কারা রং মোহিত করে শীতকাল কে। এই শীতকাল কবে আসবে এই নিয়েই সাত মাস ধরে অপেক্ষা করে থাকে বাংলার আপামর মানুষ। এর সঙ্গে সঙ্গে বাংলার এক ঐতিহ্য বলা যেতে পারে হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু মানুষ। যেমন এই সময়েই প্রাচীন যাত্রা গান হারিয়ে যেতে বসেছে। আষাঢ় মাসের রথের দিনে বিভিন্ন কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো যাত্রার শুভ মহারত হিসাবে। কিন্তু আজ আর সেই দিন নেই। যাত্রা শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। না খেতে পেয়ে অনেক পুরাতন যাত্রা শিল্পী আজ পথে। তাই যাত্রা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু মানুষ। যাত্রার জায়গায় আজ দখল নিয়েছে গান বাজনার আসর, চলেছে উদ্দাম নৃত্য।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যাত্রা মানুষদের কাছে পৌঁছাতে পারেনা। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব জানিয়েছিলেন যাত্রা দেখলে লোকশিক্ষা হয়। কিন্তু আজ আর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নেই। তাই লোক শিক্ষা আজ একেবারেই বন্ধের দিকে। বহুদিন পর বীরভূমের মাটিতে দেখা গেল এই লোক শিক্ষার আসর। মানুষকে মনুষত্ব শেখানোর উদ্দেশ্যেই যাত্রার পালাগান লেখা হয়। সেখানেই তাদেরকে পারিবারিক এবং সামাজিক শিক্ষা কতটা জরুরী তা বোধ হয় এই শীতকালের প্রধান উৎসব যাত্রা না দেখলে বোঝা যায় না। হারিয়ে যাওয়া এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার যারা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে আসতে হবে এই শিল্পকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে।