অরণ্য, ঝাড়গ্রাম-১২ই ডিসেম্বর:
ভরা মরসুমে বাঘের ভয়ে কিছুটা ব্যাহত পর্যটকদের বেলপাহাড়ি ঘোরা। বনদফতরের সর্তক বার্তায় অনেকেই কাটছাট করছেন ঘোরা। অনেকে আবার বেলপাহাড়ি ছেড়ে ঝাড়গ্রাম চলে আসছেন। অনেকে আবার বাঘ দেখতে পাওয়ার আশায় রোমাঞ্চিত। বাঘমামা কে ঘিরে দুই রাজ্যে উৎকন্ঠা, উদ্দীপনা। বেলপাহাড়ি থেকে মাত্র ১২কিমি দূরে অবস্থান বাঘ মামার। বেলপাহাড়িতে ঘুরতে আসা পর্যটক দের মধ্যে একদিকে ভয় অন্য দিকে হঠাৎ বাঘকে সমনে থেকে দেখতে পাওয়ার ভাবনায় রোমাঞ্চিত। বাঘের লোকেশন ট্রাক করে তাকে ঘরে ফেরাতে নাজেহাল উড়িষ্যা এবং ঝাড়খন্ড বনদফতর। সাথে উৎসাহী জনতা কে সামলাতে হিমসিম অবস্থা। শেষে ১৬৩ ধারা জারি করে এলাকা খালি করতে হয়েছে।
গতকাল বাঘটিকে ট্রাঙ্কুইলাইজার করার অনুমতি পাওয়ার পরই ৮০ জনের এক বিশেষ টিম তৈরী করা হয়েছে। আনা হয়েছে ৩টে মোষ। সারা দিন চাকুলিয়ার গোরামচাটি, ভালুলবিধাঁ, কাঠিয়াবেরা, এলাকায় ঘোরা ফেরা করলেও রাত ৮ টা নাগাধ চিঁয়াবাধির জঙ্গলে ট্রাক করে তাকে দেখতে পায় বন দফতরের কর্মীরা। তবে ধরা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বেলপাহাড়ির সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম জড়মা থেকে বেশ কিছুটা দূরে। তবে বেলপাহাড়িতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বাঘের কথা শুনে একদিকে আতঙ্কিত অপরদিকে রোমাঞ্চিত। তারা এটা ভাবতেই পারছেন যে ঘুরে গিয়ে বাঘের সামনে পড়লে তাদের কি করনিয়। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকা বিলায় প্রস্তুত ঝাড়গ্রাম বনদফতর এবং জেলা পুলিশ।