বড়দিনের আগে বিকোচ্ছে কেক আপনার অজান্তেই শরীরে যাচ্ছে বিষ

দিব্যেন্দু গোস্বামী , বোলপুর ২৪শে ডিসেম্বর:


  আর কয়েক ঘন্টার পর  বড়দিন পালিত হবে। এই বড়দিনে কেকের স্বাদ থাকবে না তাই কি কখনো হয়? বাঙালি মানে উৎসব প্রিয় মানুষ। তাই আপামোর জনতার কাছে বড়দিন মানেই কেক খাওয়ার উৎসব। অনেকেই রাস্তার ধারে বিভিন্ন প্রকার কেকের সমাহার নিয়ে বসে পড়ে বিক্রি করতে। ৮ থেকে ৮০ সমস্ত বয়সের মানুষ এদিন কেকের আস্বাদন গ্রহণ করেন। মূলত শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদের বাড়িতে বাড়িতে কেকের যে চাহিদা থাকে তা পূরণ করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কোম্পানি কেক প্রস্তুত করে থাকে। নামি কোম্পানির কেক ছেড়ে দিলে  যে লোকাল কেক প্রস্তুত হয় তা কিনতেই অভ্যস্ত। তার কারণ ওই কেকের আস্বাদন এবং টাকার পরিমান অনেকটাই কম।

কিন্তু লক্ষণীয় ব্যাপার তা হল এই নামি কোম্পানির তৈরি কেক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে যেমন ভাবে তৈরি করা হয় সে ক্ষেত্রে লোকাল কেক এইভাবে তৈরি করা হয় না। তার মধ্যে মেশানো হয় বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। শুনে আপনারা হতবাক হয়ে যাবেন লোকাল কেক যেখানে তৈরি হয় সেখানে পরিমাণ মতো মেশানো হয় মদ। মোটামুটি ১৫ কিলো কেক তৈরি করতে চার বোতল মদ মেশানো হয়। এই মদ মেশানো হলে যিনি এই কেক নিয়ে যাবেন তিনি যাতে পুনরায় আবারও ওই একই কেক কিনে নিয়ে যান সেই দিকেই লক্ষ্য রেখে এই কেকের মধ্যে মেশানো হচ্ছে মদকে। তাছাড়া মদ মেশানো হলে ওই সমস্ত কেক অনেক দিনই টাটকা থাকে নষ্ট হয় না। সেই কারণেই তারা এই ধরনের অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কেক তৈরি করছে। প্রশাসন মদ বিক্রির ওপর নজর রাখলেও খাদ্যের সঙ্গে মদ মেশানো হচ্ছে তার খবর পাই না। যার কারণে এইভাবেই কেক তৈরি চলছে অতি সন্তর্পণে। যার ফলে ভুগতে হচ্ছে শারীরিক ভাবে সাধারণ মানুষকে।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.