নৃশংসতার নজির, এবার বন্যপ্রাণী

 অরণ্য, ঝাড়গ্রাম- ১৬ই আগষ্ট:

এরাজ্যে মানুষ থেকে প্রাণী কেউ-ই যে সুরক্ষিত নয় তা আরও একবার প্রমানিত হল । আহত হাতির মৃত্যু হল আজ। গতকাল হাতির পিঠে জ্বলন্ত রড ঢুকিয়ে দিয়ে গুরুতর আহত করে হুলা সদস্যরা বলে অভিযোগ। অভিযোগ বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা র বিরুদ্ধে। টাকা নিয়ে যোগ্য লোকেদের বাদ দিয়ে অনভিজ্ঞ লোক নিয়োগ। 


অনভিজ্ঞ লোকদের নিয়ে  তৈরী হুলা টিমের জন্য হাতির মৃত্যু এবং সারাদিন হাতির আতঙ্কে শহরবাসী। গতকাল সন্ধ্যের পর হাতিটির চিকিৎসা শুরু হয়। গোপন জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হাতিটিকে। হাতি মৃত্যুর পর বিরবাহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হাতি মৃত্যু ও মানুষের মৃত্যুর জন্য বিরবাহাকে দায়ী করছেন গ্রামবাসীরা। দোষী ব্যাক্তির শাস্তি দাবি করছেন তারা। গতকাল ভোর রাতে পাঁচটি হাতি ঢুকে যায় শহরে। হামলায় মারা যায় এক ব্যাক্তি। এর পরেই ডাক পড়ে হুলা পার্টির। অগোছালো কাজের ফলে হাতি শহর থেকে বার করা সম্ভব হয়নি। একটি হাতি কে ঘুম পাড়ানি গুলি করে অন্যত্র সরানো হয়। এরই মধ্যে বিকেলে হুলা দলের এক সদস্য হাতির পিঠে রড ঢুকিয়ে দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। 

অনভিজ্ঞ হুলাদের সেখান থেকে বার করে দেওয়ার দাবি ওঠে। ঘেরাও করা হয় বনদপ্তরের  কর্মীদের। পুলিশের হস্তক্ষেপে এবং আহত হাতির চিকিৎসার জন্য এলাকা বাসীরা চুপ করে যায়। শুরু হয় চিকিৎসা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গোটা ঘটনা বন মন্ত্রী বিরবাহাা হঁসাদার বারির সামনে হলেও তিনি একবারের জন্য কোনো খোঁজ খবর নেননি বলে অভিযোগ। 
গ্রামবাসীদের  অভিযোগ হাতির সমস্যা বাড়ায় সরকার গ্রামের যারা হাতি তাড়ানোর কাজ করেন তদের থেকে লোক বাছাই করে লোক নিয়োগের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বনপতি মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা এলাকার অভিজ্ঞ লোকেদের না নিয়ে টাকার বিনিময়ে বাইরের লোক নিয়োগ করে। ফলে হাতি তাড়ানোর কাজে সমস্যা তৈরী হয়। মানুষের মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতি বারতে থাকে। ক্ষুব্ধ অভিজ্ঞ হুলা পার্টির লোকেরা হাতি তাড়ানোর কাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। যার ফল হাতি হামলায় এত মানুষের মৃত্যু ও ক্ষয় ক্ষতি। সর্বপরি গত কালের এই নৃশংস হাতির উপর হামল ও মৃত্যু। হাতি মৃত্যুর কথা স্বীকার করে ঝাড়গ্রামের ডিএফও জানান অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে যে আছে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।












Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.