অরণ্য, ঝাড়গ্রাম -১৬ই জুলাই :
স্কুলের ছাদ যে কোনো সময় তাদের মাথায় পড়তে পারে।তাই স্কুল সংস্কারের দাবিতে স্কুল ছেড়ে ডিএম অফিসের বাইরে ক্ষুদে ছাত্র,ছাত্রীরা। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের জামুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের দাবিতে ডেপুটেশন , বিক্ষোভ জেলাশাসকের কার্যালয়ে। দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয় এর জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছিলো পঠন পাঠন। বারবার প্রশাসন কে জানিয়েও হয়নি সুরাহা। উল্লেখ্য ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের জামুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতির অফিসে বিদ্যালয় সংস্কার এর দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, গোপল্লবপুর দু নম্বর ব্লকের তপসিয়া চক্রের অন্তর্গত এই বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন যাবৎ এই বেহাল দশা। আর তার ফলে পঠন পাঠন থেকে শুরু করে মিড ডে মিল সহ গোটা বিদ্যালয় পরিচালনা করতে খুব সমস্যায় পড়তে হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের, তাই দীর্ঘদিন প্রশাসনের দারস্থ হয়েও কোনো সুরাহা না হওয়ায় আজ জেলাশাসক ও শিক্ষা সংসদের অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হল।
স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ের কক্ষের মধ্যে বসতে ভয় পায়, জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে বিদ্যালয় এর সমস্ত কক্ষ। বারান্দায় চলছে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনেরকাজ।তাই বারবার বিডিও অফিসে জানিয়েও সমাধান না হওয়ায় ,আজ স্কুলের পঠন- পাঠন বন্ধ রেখে জেলাশাসক অফিসে মিলিত হয়ে এই ডেপুটেশনে। অভিভাবক ও সাধারণ মানুষজনের দাবি, পৃথক ক্লাসরুম বানাতে হবে, মেরামত করতে হবে সমস্ত কক্ষ,মিড ডে মিল এর বরাদ্দ বাড়াতে হবে প্রভৃতি। জানা গিয়েছে,গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত এই বিদ্যালয় এ ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেক। এই জরাজীর্ণ ভবনে পঠনপাঠন করতে সমস্যা হওয়ায় , জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পঠন পাঠন এ অনিহা দেখা যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে,তাই উপস্থিতির হার ও অনেক কম লক্ষ্য করা যায় বেশিরভাগ দিন। কবে হবে এই সমস্যার সমাধান? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন!