অরণ্য, ঝাড়গ্রাম-২৬ শে এপ্রিল:
জঙ্গল মহলে যক্ষা টিবি রোগ ফিরিয়ে আনছে রশ্মী ইস্পাত ফ্যাক্টারী। আদিবাসী কুড়মিদের জমি সহ জঙ্গল লুঠ করছে। ঝাড়গ্রাম বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে এসে মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারির। রশ্মী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মিলে ব্যবসা করছে। এন্টার খড়গপুর এবং ঝাড়গ্রাম তারা দুষিত করছে। গরিব মানুষকে শেষ করছে। যক্ষা টিবি রোগ আবার ফিরিয়ে এনেছে এরা। এদের পঞ্চাসটা ঘাট অবৈধ। বিজেপি এলে জঙ্গলের জমি, ট্রাইবেলদের জমি, সব ফেরৎ দেওয়া হবে। এরা সব খেয়ে নিচ্ছে, আইসি আনারুল হাসান, মেহিদ হাসান এসপির সহযোগীতায় চায়না মেড অস্ত্র বাংলাদেশ দিয়ে ঢুকিয়েছে সেক সাহাজাহান। মিনাখার আয়ুব গাজি, রাজাগাজীর কাছে বাসন্তীতে, সৌকত মোল্লা জীবনতাল, ফলতাতে জাহাঙ্গীরের কাছেও অস্ত্র পাওয়া যাবে। কমপ্লিটলি অ্যান্টি ন্যাশেনালনফোর্স সেল্টার বাইদি মমতা ব্যানার্জ্জী। প্রতিটা ভোট লুঠের জন্য এই অস্ত্র মজুত।
দেবাশিষ ধর কোর্টে যাচ্ছে। পিসি ভাইপো এটা করেছে। তৃনমূলে আমার লোক আছে খবর পেয়ে বিকল্প প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। ৯আগষ্ট ২০১০ লালগড়ে ভিডিও হলে প্রথম তৃনমূলের সভা হয় আমার উদ্যোগে। তখন বর্তমান নেতাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিনতেন না। আমি এলাকায় শান্তি ফেরানোর লক্ষে কাজ করেছিলাম। জঙ্গল মহলে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করেছিলাম। জঙ্গল মহল কিছু পায়নি। বিল্ডিং হয়েছে শিক্ষার কোনো উন্নয়ন হয়নি। স্বাস্থ্য কোনো উন্নতি হয়নি, মেডিকেল কলেজ হয়েছে প্রধান মন্ত্রীর উদ্যোগে, এখানে কাজ নেই। সবাই পাশ্ববর্তী রাজ্যে চলে যায়। এখানে চারটে ব্লকে স্পেশাল অডিট পাঠান দেখবেন সমস্ত বাথরুম খেয়ে ফেলেছে। আবাসের বাড়ি দিয়েছে মোদি। সেগুলো পায়নি। নদী গুলোর বালি কাঁকড় সব বেঁচে দিয়েছে। ফলে বন্যায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পেয়েছেন এখানে পুলিশি রাজ আর মিথ্যা মামলা। এখান থেকে বালি তুলে ভাইপোকে টাকা পাঠাচ্ছে। আর এখান থেকে হাজার হাজার লাখ লাখ গরু পাচার করে। প্রতি গরুতে ২ হাজার পুলিশ ২ হাজার ভাইপো নেয়। শুধু বলেন ১০০০টাকা দিয়েছি। ওটা কি তোর বাবার টাকা? আমি ৩০০০ টাকা করে দেবো। জঙ্গল মহলে এমস এর মতো হাসপাতাল দেবে বলে গেছেন অমিত সাহ। জনজাতির কাছে আবেদন তৃনমূল কে ভোট না দেওয়ার। প্রধান মন্ত্রী আদিবাসীকে রাষ্ট্রপতি করেছে। মমতার সরকার জসবন্ত সিং কে ভোট দিয়েছে। আদিবাসী কে দিয়েছে। মমতা ব্যানর্জির আমলে কুম্ভকার, তেলি সহ একাধিক ওবিসি ২ করে বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক কে ওবিসি এ করেছেন। লোক সভার পরে ২লক্ষ্য বিশ্বকর্মা কে লোন দেবো। ওবিসিদের আমরা সহযোগিতা করতে চাই। কুড়মি সমাজ আন্দোলন করছে। এদের আমরা কোনো বিরোধিতা করিনি। ভাইপো বলেছে কুড়মি দের ভোট লাগবে না। তৃনমূল কে জেতাতে অনুপ মাহাত, পুরুলিয়ার অজিত মাহাত বিজেপির ভোট কটার জন্য নেমেছে। কুড়মি দের অনেকে আমাকে সমর্থন করবে বলেছেন। কুড়মি ভাইদের বলছি সাত বছরে ১০বার জাস্টিফিকেশান চেয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু ঠগি পিসি তার একটাও উত্তর দেয়নি। কুড়মিনদের জেল খাটালো কে? তৃনমূল। গড়বেতায় মমতার সভায় তিন হাজার লোক এখানে ১৫ হাজার বুথ কর্মী। চাকরি গেছে আপনার জন্য ৫০০০ কে বাঁচাতে ২৫ হাজারের চাকরি গেছে। আপনি ২১০০০ হাজার মদের দোকান করেছেন।