অরণ্য, ঝাড়গ্রাম - ১০ই মার্চ:
প্রার্থী ঘোষণ হবার পর থেকেই ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সাহিত্যের জগৎ এ খেরোয়াল সরেন নামে পরিচিত কালিপদ সরেন এবার রাজনীতির জগতে। সাহিত্য এবং বাচ্চাদের পড়াশুনা, গান নিয়ে থাকা প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মীর পাশে থাকবেন তার পরিবার। পদ্মশ্রী, বঙ্গবিভুষন সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার, সারদাপ্রসাদ কিস্কু স্মৃতি পুরষ্কার সহ একাধিক পুরষ্কার প্রাপ্ত কালিপদ সরেনের পাশে থাকার অঙ্গিকার করে তার স্ত্রী মাথুরানী সরেন বলেন পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষের কথা তুলে ধরেছেন তিনি তার লেখায়। এবার রাজনীতির মধ্যে দিয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি সমস্ত মানুষের ভালমন্দ দেখবেন তিনি।
প্রায় ৩২ টা বই লিখেছেন কালিপদ সরেন। তবে অর্থের অভাবে সব বই প্রকাশ করতে পারেন নি। গতবার এই সিটে ৪৩.৭℅ ভোট পেয়ে ১১হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলো তৃনমূল প্রার্থী বিরবাহা সরেন টুডু। ৪৬.৬% ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন বিজেপির কুনার হেমব্রম। বর্তমানে জঙ্গল মহলে কুড়মিরা সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ। আজ তাদের অধিকাংশ জনগর্জন সভায় না গিয়ে পুরুলিয়ার সভায় যোগদান করেছে। এই জেলায় কুড়মিদের প্রায় ৩০শতাংশর কাছাকাছি জনসংখ্যা। এর পর মুন্ডা যারা আদিবাসী সমাজে দ্বিতীয় বৃহত্তম তারাও সরকারের উদাসীনতায় সরকার থেকে দুরত্ব বজায় রাখছেন। বিভিন্ন দূর্নীতি সহ সন্দেশখালির মত ঘটনায় কিছু সংখ্যক মানুষ সরকার থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। আজ জনগর্জন সভায় তৃনমূল নেতা কর্মীদের সেই সংখ্যক যেতেও দেখা যায় না এমত অবস্থায় তৃনমূলের পক্ষে এই সিট সহজে যে জেতা সম্ভব তা বলা যাবেনা। পদ্মশ্রী খেরোয়াল সরেন তথা কালিপদ সরেন কি ভাবে ভোট যুদ্ধে উর্ত্তীন হতে পারে তা দেখার বিষয়।