এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? নাকি মদের আঁখড়া

 অরণ্য, ঝাড়গ্রাম - ২৯ জানুয়ারি:

এটা কি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ? চারিদিকে অব্যবস্থা বিল্ডিংয়ের চারপাশে ফাটল। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে স্কুলের ক্লাসরুম। পাশাপাশি স্কুল লাগোয়া পুকুরের কচুরিপানায় ঢেকেছে স্কুল। ফলে মশার উপদ্রব থেকে রেহাই নেই পড়ুয়াদের। এত সমস্যার পরেও হুস নেই পরিচলন কমিটি থেকে প্রশাসনের। শুধু কি তাই উপরের সমস্যা গুলির পাশাপশি রাতের অন্ধকারে স্কুলের মধ্যে বসে মদের আসর। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বনডাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ অবস্থা দেখে চোখ কপালে তুলছেন অনেকে। রাজ্য জুড়ে যখন শিক্ষা দুর্নীতিতে তোলপাড়। ঠিক সে সময় ঝাড়গ্রামের এই স্কুলের বেহাল দশার ছবি প্রশ্ন তোলে জেলার শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম 'বনডাহি'। বিদ্যালয় ঢোকার মুখেই কাদা জমা রাস্তা যার ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের।


 ছাত্র-ছাত্রীরা জানান বৃষ্টির দিনে এক হাঁটু কাদা জমে থাকে ফলে স্কুলে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়। স্কুলের রাস্তাটি নিয়ে একাধিকবার অভিভাবকরা প্রশাসন কে জানালেও সুরোহা হয়নি বলে অভিযোগ। জানা গেছে ওই প্রাথমিক স্কুলে প্রায় ২২১ জন ছাত্রছাত্রী পড়ে । তার পরেও এমন দশা কেনো প্রশ্ন তুলছেন অভিবাবক রা। পাশাপাশি দেখা গেল স্কুলের ক্লাস রুমের ভেতরে ভাঙ্গা সিলিং, দেওয়াল। যে কোন সময় সিলিং পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। যার ফলে ক্লাসরুম বদলে অন্য জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের বসিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি এক ভয়ঙ্কর ছবি উঠে এলো আমাদের ক্যামেরায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়়াগড়ি খাচ্ছে মদের বোতল, গ্লাস, চিপসের প্যাকেট! ফলে সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষক থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা। খারাপ প্রভাব পড়ছে শিশুর মনে। ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? নাকি মদের আসর? বোঝা বড় দায় হয়ে উঠেছে। অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুল চারিদিকে প্রাচীর দেওয়াল না থাকার কারণে রাতের অন্ধকারে যে কেউ এখানে এসে মদ্যপান করে চলে যায়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.