অরণ্য, ঝাড়গ্রাম-৬ই জানুয়ারি:
জেলার কর্মতীর্থ গুলো কার্যত কর্ম হীন হয়ে পড়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে তৈরি জেলার কর্মতীর্থ গুলি সমাজ বিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে।পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে বহু মূল্যবান সামগ্রী।আগাছায় জঞ্জালে ঢাকা পড়ছে দিনের পর দিন। রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তরের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল ওই কর্মতীর্থ গুলি।যেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করার জন্য। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল কয়েক বছর আগে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে তৈরি করা হয় কর্মতীর্থগুলি, কিন্তু কোনো কাজে আসেনি, পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে কর্মতীর্থ গুলি, জমছে আগাছা, রাত্রি হলে সমাজবিরোধীদের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে।বাড়ছে উৎপাত,কাঁচ ভাঙছে,চুরি হচ্ছে নানা জিনিস। যার ফলে ওই কর্মতীর্থ তৈরী নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাতো বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় ওই কর্মক্ষেত্রগুলি তৈরি করা হয়েছে, কেবলমাত্র কাটমানি খাওয়ার জন্য কর্মতীর্থগুলি তৈরি করা হয়েছে, কাজের কাজ কিছু হয়নি গ্রাম থেকে অনেক দূরে কর্মতীর্থ গুলি করা হয়েছে।যেখানে মানুষের সঙ্গে কর্ম তীর্থ গুলির কোন সম্পর্ক নেই। জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় কর্মতীর্থ গুলি এখন সমাজ বিরোধীদের আস্তানা হয়েছে। যাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে,তাদের কোন কাজে তা লাগানো হয় নি। তাই ওই কর্মতীর্থ গুলি এখনো চালু হয়নি। যার ফলে কর্মতীর্থ গুলি নষ্ট হতে বসেছে। এর জন্য তিনি তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারকে দায়ী করেন । ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী রেখা সরেন বলেন যেসব এলাকায় কর্মতীর্থ গুলি তৈরি করা হয়েছে সেই এলাকাগুলি জঙ্গল এলাকা। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও প্রশাসনের এক শ্রেণীর কর্মীর জন্য ওই কর্মতীর্থ গুলি আজও চালু হয়নি। যার ফলে সমাজ বিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠছে কর্মতীর্থ গুলি। তাই চালু করা হয় যায়নি। তা কার্যত তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রশাসনের এক শ্রেণীর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।