যৌথ মঞ্চে হাজির শুভেন্দু অধিকারী

নিজেস্বসংবাদদাতা,২৩ শে জানুয়ারি - কলকাতা:

৪ অনশনকারীর সঙ্গে কথা। তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ করেন। সরকারি কর্মীরা সচেতন,সংবেদনশীল। কিন্তু ২০১৬ সালের পর তারা এই সরকারের স্বরূপ বুঝেছেন। বুঝেছেন তাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। কর্মীরা দেখেছেন আবাস যোজনা থেকে শৌচালয়। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের টাকা লুঠ হয়েছে। কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রে তালাচাবি ঝুলে গেছে। পি এস সি অফিস কেও বাদ দেওয়া হয়নি। মিড ডে মিলের টাকায় কম্বল বিতরণ হয়েছে। এদের প্রতিবাদে মমতা ব্যানার্জি আতঙ্কিত। তাই এদের তিনি পোস্টাল ব্যালটে পাবেন না। তাই এদের ওপর দমন পীড়ন নীতি নেওয়া হয়েছে। কাল মুখ্যমন্ত্রী বলছেন হিন্দুরা কাফের। দেশের সংবিধান এই ল্যাঙ্গোয়েজ অ্যালাও করে কি?আমি সাধুর কথা বলব। আপনি নবীর কথা বলবেন। কে আপত্তি করেছে? এই অনশন কারীদের কিছু হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে। নবান্ন অভিযান করুন। অমিত শাহ বলে গেছেন আমাকে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ডাকলে যাবেন। আমরা পাশে আছি। সুপ্রিম কোর্ট এবার আশা করি বিবেচনা করবে। এখন আর মিসলেনিয়াস লিস্টে নেই। সেই লিস্ট থেকে বেরিয়ে এসেছে। সাহস থাকলে এদের বরখাস্ত করে দেখান। এরা প্রাণ আত্মাহুতি দিতে চায়। চাকরি যাওয়ার ভয় এরা করেনা। এদের দাবি আংশিক সফল। ঠেলায় পড়ে ৩ থেকে ৪ শতাংশ ডি এ দিয়েছে। জরুরী পরিষেবা ছাড়া বাকি সর্বাত্মক ধর্মঘট করুন। ১ তারিখ বিকেলে আরেকবার বিবেচনা করুন। ২ তারিখ থেকে পরীক্ষা আছে। রাজ্যে প্রকৃতি মা যা দিয়েছে বলি পাথর কয়লা তার ৯০ শতাংশের ওপর কোনো রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। কুপন দেখালে পুলিশ ছেড়ে দিচ্ছে। একে ভোটে হারাতে হবে। এ ধাপ্পাবাজ ফ্রড। মুখ্যমন্ত্রী সংবিধানের শপথ নেওয়া লোক। বলছে আল্লা কসম? মুসলিম দের প্রতিবাদ করা উচিত উনি আপনাদের আল্লা কে রাস্তায় নামিয়ে এনেছেন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ লক্ষ্যে অবিচল। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা পথে  নামিয়ে এনেছেন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ লক্ষ্যে অবিচল। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা পরিষেবা বিহীন অবস্থায় পড়ে আছেন। একটা মেডিক্যাল টিম পর্যন্ত পাঠায় নি। মাঝে একবার ভাইপো এখানে সভা করে গেল। ভেবেছিল এরা উঠে পালিয়ে যাবে।

সেদিনও এরা লড়েছে। সেদিন শহীদ মিনারে গুন্ডা আনা হয়েছিল। এদের তুলে দেওয়ার জন্য। মমতা ব্যানার্জি কে এদের কাছে বো ডাউন করতে হবে। নাহলে পদত্যাগ করতে হবে।'ডাকুন নবান্ন অভিযান, আমি থাকব’, মঙ্গল-সকালে ডিএ মঞ্চে গিয়ে সরকারি কর্মীদের বার্তা শুভেন্দুর মঙ্গলবার সকালে ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে যান শুভেন্দু। আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা যায়, “ডাকুন নবান্ন অভিযান। আমি থাকব।” ডিএ মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী।বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে অবস্থানে বসা সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। কর্মচারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ দীর্ঘ দিন ধরেই শহিদ মিনার ময়দানে ডিএ-র দাবিতে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি তার সদস্যদের একাংশ আমরণ অনশন শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই সেই অনশন মঞ্চে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা। আন্দোলনকারীদের পাশে বসেই রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। অন্য দিকে, রাজ্যের দাবি, ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মচারীদের জন্য চার শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা যায়, “ডাকুন নবান্ন অভিযান। আমি থাকব।” আন্দোলনকারীদের কিছু হলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না বলেও রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, “এদের যদি কিছু হয়, আগুন জ্বলবে বাংলায়।” 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.