অরণ্য, ঝাড়গ্রাম - ৩১শে জানুয়ারি:
পুকুর চুরি তাও দিনের আলোয় । জমি কারবারিদের নজর ১০০দিনের কাজের টাকায় খনন করা পুকুরের দিকে। ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে দিনের পর দিন বাড়ছে জমি কারবারিদের দৌরাত্ম। ঠিক একই রকমভাবে ঝাড়গ্রামের চন্দ্রি গ্রামে সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে অনুমতি নিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল। গ্রামবাসী দের অভিযোগ এই পুকুর এলাকার সাধারণ মানুষের কাজে ব্যবহৃত হয়। যে পুকুর রাজ্য সরকারের ১০০ দিনের কাজের আওতায় খনন করা হয়েছিল সেই পুকুরেই ভরাট করে দখলদারি করার চেষ্টা স্থানীয় প্রশাসনের মদতে এমনটাই অভিযোগ করছিলেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। বারংবার ভূমি দপ্তর ও জেলাশাসক দপ্তরে জানানো হলেও কোন সুরাহা হচ্ছিলো না। শেষমেষ ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী কাজ আটকানোর চেষ্টা করে। এবং ঘটনাস্থল থেকেই খবর দেওয়া হয় ভূমি দপ্তরে। শেষমেষ ভূমি দপ্তরে ADM LRO হীরক মন্ডল ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পুকুর ভরাট করার কাজ বন্ধ করেন।
পুকুর ভরাট করতে যে সমস্ত ট্রাক্টর,জেসিবি ব্যবহৃত হচ্ছিল সেগুলোকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকেই যে ব্যক্তি এই কাজ করছিলেন তাকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু বারংবার বিরোধী শিবির ঝাড়গ্রাম জেলার জমি মাফিয়া থেকে শুরু করে নিচু স্তরের প্রশাসনের আধিকারিকদের দারা ঝাড়গ্রামের সাধারণ মানুষকে শোষণ হওয়ার অভিযোগ তুললেও কোন ভুক্ষেপ নেই ঝাড়গ্রামের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ঝাড়গ্রামের জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাতো। তবে চন্দ্রি গ্রামে এই কাজ বন্ধ হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে এডিএম এলআরও স্বীকার করেন বেআাইনি পুকুর খনন বন্ধ করেছেন। জেলায় কিছু ঘটনা এরকম ঘটছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে যেভাবে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম বাড়ছে তা কবে শেষ হবে সেটাই দেখার।