তাপস রায় ,কালনা ১৯ শে জানুয়ারি:
মেলায় বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা দামের মিষ্টি। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার ধাত্রি গ্রামের হাতিপোতায় চলছে মেলা। সকলের কাছে এই মেলা ‘দেবদাস স্মৃতি মেলা’ নামেই পরিচিত। এই মেলাতেই মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছেন মিষ্টি বিক্রেতারা। সারিবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন দোকানে, গামলার মধ্যে মিষ্টি সাজিয়ে চলছে দেদার কেনাবেচা। উদ্যোক্তাদের কথায় ২৪ বছর ধরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আগে এই মেলার জৌলুস কম থাকলেও, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জাঁকজমক ভাবে চলছে এই মেলা। এই মেলার মূল আকর্ষণই হল বিশালাকার মিষ্টি। মেলার এক মিষ্টি ব্যবসায়ী জানান, ‘২০০০ টাকা দামের মিষ্টি আসলে ছানা, অল্প ময়দা এবং সামান্য আমুল দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়। যেহেতু দামি মিষ্টি তাই অনেক সাবধানে তৈরি করতে হয়। প্রায় ৩ কেজি ছানা এবং ২ থেকে
৩ ঘণ্টা সময় লাগে একটা দামি মিষ্টি তৈরি করতে।’কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্মৃতি বিজড়িত ‘দেবদাস স্মৃতি মেলা’র উদ্বোধন হয় মঙ্গলবার বিকেলে। জানা যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবদাস উপন্যাসে উল্লেখিত, পার্বতী ওরফে পারোর শ্বশুরবাড়ি ছিল এই হাতিপোতা গ্রামে। আর সেই উপলক্ষে এই গ্রামে বিগত ২৪ বছর ধরে হয়ে আসছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে দেবদাস স্মৃতি মেলা।মেলা উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই হাতিপোতা গ্রামে মেলার মূল আকর্ষণ মিষ্টি। কারণ এই মেলায় সব ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায়। ৫ টাকা দামের মিষ্টি যেমন পাওয়া যায় সেরকমই ৫০০ টাকার মিষ্টি, ১০০০ এবং ২০০০ টাকার মিষ্টিও পাওয়া যায়।’ বিশালাকার মিষ্টি দেখতে জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা থেকেও অনেকে আসেন। তবে শুধু যে দেখতে আসেন তা কিন্তু নয়। এই মেলায় মিষ্টি বিক্রিও ভালই হয়। পাঁচদিনের মেলায় সব মিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়। চলতি মাসের ২০ তারিখ অবধি এই মেলা চলবে।