অরণ্য, ঝাড়গ্রাম- ২১ শে ডিসেম্বর:
চুরির পদ্ধতি একেবারেই নতুন। গাছ চোর ধরতে এবার স্নিফার ডগ আর সিআরপিএফ সহায়তা নিলো বন দফতর। হাতির হামলার সাবধান বার্তাকে হাতিয়ার করেই শাল গাছ লোপাট করছে গাছ চোরের দল। সেই চোর ধরতেই এবার স্নিফার ডগ আর পুলিশ কে নিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালাতে শুরু করলো বনদফতর। ঝাড়গ্রাম জেলার একমাত্র শোভা শাল জঙ্গল।কিন্তু দিনের পর দিন এই শাল জঙ্গলই লোপাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যৎ জঙ্গলমহল তার রুপ হারাতে চলেছে। বর্তমানে হাতির হামলা বেড়েছে জেলা জুড়ে। যে এলাকায় হাতি থাকে সেখানে বনদফতর এবং বনরক্ষা কমিটি যৌথ ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত হাতির গতিবিধি জানান দেয়। এবং সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে থাকতে নিষেধ করে। এই সুযোগ টাই নেয় গাছ চোরেরা।
যেহেতু হাতির হামলার ভয়ে বনরক্ষা কমিটি রাতে পাহারায় থাকেনা। সেই সুযোগে রাতারাতি জঙ্গলের মোটা গাছ কেটে পিকাপভ্যানে পাচার করে দেয় কাঠ চোরেরা। এরকম একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে বনদফতরে। খুবএকটা কান মাথা নাড়াতে দেখা যায় না বনদফতরকে।গতকাল রাতে এরকমই সাবধান বার্তায় ঝাড়গ্রাম ব্লকের জোয়ালভাঙা,হদহদি,টিয়াকাটির বনসুরক্ষা কমিটির লোকেরা পাহার বেরোতে পারেনি। কিন্তু তারা গাছ চুরি হতে পারে সেই সন্দেহের কথা জানালে বনদফত রাতে জঙ্গলে টহল শুরু করলে দেখতে পায় প্রায় ৩০টির কাছাকাছি গাছ কেটে ৭ফুটের টুকরো করে পাচারের আয়োজন। সাথে সাথে ধরতে গেলেই জঙ্গলে গা ঢাকা দেয় চোরেরা। উদ্ধার হয় গাছ কাটার যন্ত্রপাতি এবং কাটা গাছ গুলি।সকাল জেলা সিআরপিএফ এর সহায়তায় স্নিফারডগ আনা হয়। শুরু হয় গ্রামে গ্রামে সিআরপিএফ, বনদফতর, এবং স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি। যদিও এখনো কেউ ধরা পরেনি।রেঞ্জ অফিসার চুরির কথা স্বীকার করে,বলেন তারা নজরদারি বাড়াবেন।