অরণ্য, ঝাড়গ্রাম- ১৭ই ডিসেম্বর:
ঝাড়গ্রামের ৩নং ওয়ার্ড আদর্শ উদাহরনে পরিনত হয়েছে "নেই আর অনুন্নয়নে"। কথায় আছে, ভোটের আগে কাজী, ভোট ফুরোলেই পাজি। ঝাড়গ্রাম পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এই দাবি করছেন সমস্বরে। আদতে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিউলি সিংহ ছিলেন ঝাড়গ্রাম পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারপার্সন। তবুও কেন নেই-রাজ্য এই ওয়ার্ডজুড়ে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ঝাড়গ্রাম গোয়ালাপাড়া, নতুন বস্তি এলাকারার মানুষদের মনে।
ঝাড়গ্রাম পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকশো পরিবার বসবাস করেন। তাঁদের অভিযোগ এই ওয়ার্ডে ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা প্রদান করে না ঝাড়গ্রাম পুরসভা। বাঁধানো রাস্তাঘাট নেই, রাস্তায় আলো নেই, নিকাশি নালা নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান জল জমে। পানীয় জল পানের যোগ্য নয় বলেই দাবি এলাকা বাসীদের। নর্দমা না থাকায় মাঝেমধ্যেই সেই জল পানীয় জলের পাইপে ঢুকে যায়। ফলে টাইম কলে নোংরা জল পড়ে। এই ভাবেই তাঁরা চলছেন দিনের পর দিন এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, তাঁরা নিয়মিত পুরসভাকে ট্যাক্স দেন। কিন্তু ন্যূনতম পরিষেবা পাওয়া যায় না। বারবার ঝাড়গ্রাম পুরসভার কাছে ডেপুটেশন দিয়েও কোনও ফল হয়নি। গত পুরোভোটের পর যা অবস্থা ছিল, এই পুরোভোটের পরও তাই রয়েছে। গত পুরোভোটের ঝাড়গ্রাম পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ভোট বয়কট করার ডাক দিয়েছিলেন। পরে প্রশাসন ও শাসকদলের লোকজন তাঁদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ভোটে ফেরান। প্রতিশ্রুতি ছিল, ভোটে জিতলেই রাস্তা, নিকাশি, আলোর ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সিংহ জেতার পর থেকে আর দেখা করেননি বলেই অভিযোগ। ঝাড়গ্রাম পুরসভার কাউন্সিলর শিউলি সিংহ একজন মহিলা। তবুও পানীয় জল, নিকাশি, আলো বা রাস্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এলাকার মহিলাদের ক্ষোভ, বারবার বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না, লিখিত আবেদনেও কোনও কাজ হয়নি। ঝাড়গ্রাম সফরে এসে বহুবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার উন্নয়নের স্বার্থে টাকা বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু শাসকদল তৃণমূলের লাগাতার দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের রাজনীতিতে কোনও কাজই হয়নি ঝাড়গ্রামে বলে দাবি বিরোধী শিবিরের। ঝাড়গ্রাম পৌর এলাকাতেই অনুন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট। পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নেই কোনও পরিষেবা। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। একবার ভোট বয়কট করার দাবি জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এই এলাকায় রাস্তা, পানীয় জল, আলো ও নিকাশির ব্যবস্থা কবে হবে সেই প্রশ্নই মুখে মুখে ফিরছে, কিন্তু মুখ খোলেননি ঝাড়গ্রাম পুরসভার কোনও প্রতিনিধিই। যদিও তৃনমূল জেলা নেত্রী রেখা সরেন সাফাই দেওয়ার চেষ্ট। করেন।