অরণ্য,ঝাড়গ্রাম-২রা নভেম্বর:
জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রাম সিংপুর । এখানে উন্নয়নে আঁচ পর্যন্ত পৌছায় নি। জল নেই, রাস্তা নেই এই গ্রামের।এক সময় মাওবাদীরা এই অনুন্নয়ন কেই হাতিয়ার করেছিলো। তার জেরে পরিবর্তন। তার পরও গ্রামের চেহারার পরিবর্তন হয়নি। এই গ্রামে বসবাস করেন প্রায় ২১ টি পরিবার। কিন্তু তারা আজ সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে শুরু করে উন্নয়ন থেকে আজও বঞ্চিত, জুটেছে শুধু যন্ত্রনা। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার হলেও এখনো নরক যন্ত্রণায় রয়েছেন ঝাড়গ্রাম ব্লকের সিংপুর গ্রামের প্রায় ২১ টি পরিবার। ভোট আসে, ভোট যায় এই গ্রামের মানুষ ৩৪ বছর বাম আমলের শাসন ক্ষমতা দেখেছেন, বর্তমানে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নও দেখেছেন রাজ্যে, কিন্তু উন্নয়ন কাকে বলে তারা তাদের গ্রামে তা এখনো দেখতে পাননি। না আছে পানীয় জলের ব্যবস্থা না, না আছে চলাচলের যোগ্য রাস্তা, যে রাস্তা রয়েছে সে রাস্তা হল জমির আল, সেই জমির আল দিয়েই যাতায়াতের জন্য রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করছেন এই সিংপুরের ২১ টি পরিবারের মানুষজনরা। রাজ্যের আমূল পরিবর্তন হলেও এই গ্রামের মানুষ এখনও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।
পানীয় জলের জন্য চাষের জমিতে যেতে হয়, চাষের জমিতে জল পাওয়ার জন্য যে পাম্প ব্যবহৃত হয় সেই পাম্পের জল তারা পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করেন তাও আবার পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই জল আনতে হয়। ঝাড়গ্রামের এই অত্যন্ত গ্রামের কোন মুমূর্ষু রোগী কে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে এখনো পর্যন্ত বাঁশের ঝোলা বা খাটে করে নিয়ে দু কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয় তারপরেই গাড়িতে চড়াতে পারেন রোগীর পরিবার পরিজন। বর্ষাকাল হলে সে রাস্তাও চলার অযোগ্য হয়ে ওঠে এক হাঁটু কাঁদার মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয় এই সমস্ত গ্রামের মানুষ জনেদের। কবেই নরক যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবেন বা কবে এই সিংপুর গ্রামের সাধারণ মানুষ উন্নয়নের দিশা দেখবেন সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই।